শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগ
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পিএম
![শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/09/30/Manikganj-Zakira-Khan-66fadb2c55e2b.jpg)
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ২৬নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর পরিবার রোববার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৬নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খান চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে এবং তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় প্রায়ই ওই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। গত কয়েক দিন আগে ওই ছাত্রীদের সঙ্গে পুনরায় অশালীন আচরণ করলে তারা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে অভিভাবককে বিষয়টি জানায়।
এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক জাকারিয়া খান কয়েক বছর আগেও এমন একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য চরাঞ্চলে একটি স্কুলে ডেপুটেশনে চলে যায় এবং টাকাপয়সা ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দুই ছাত্রীর পরিবার বলেন, তিনি এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে ফোন দিয়ে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে বসে সমাধানের কথা বলেন। পরে শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে বসলেও উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনগণের চাপে বিচারকরা কোনো সমাধান না দিয়ে চলে যান।
পরিবারের দাবি, তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, না হলে আমাদের সন্তানেরা আর ওই বিদ্যালয়ে যেতে পারবে না।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, একাধিকবার ওই শিক্ষক এ ধরনের অনৈতিক কাজ আমার মেয়ের সঙ্গেও করছে। আমরা তাই তার সুষ্ঠু বিচার চাই যাতে অন্য কোনো মেয়ে যেন এধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয়।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খান বলেন, বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। এগুলোর কোনো ভিত্তি নাই। তারপর যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমি বিষয়টি অভিভাবকদের সঙ্গে গণ্যমান্যদের নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আখতার বলেন, রোববার আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে, তদন্তে ঘটনাটি যদি সত্য প্রমাণিত হয় অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।