Logo
Logo
×

সারাদেশ

অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই শিশু নানার সঙ্গে বাড়ি ফিরল

Icon

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম

অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই শিশু নানার সঙ্গে বাড়ি ফিরল

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় লোকমানপুর স্টেশনের অদূরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই শিশু আজমির (১২) হাসপাতাল থেকে অবশেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে তার নানার সঙ্গে রওনা হয়। শিশু আজমির নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাদিনগর গ্রামের জানে আলমের নাতি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ায় আজমির আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড় করে তার নানার কাছে হস্তান্তর করে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার নানার সঙ্গে একটি অটোযোগে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আব্দুলপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়।

আজমিরের নানা জানে আলম বিদায়বেলায় জানান, তার নাতিকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে তিনি মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের জন্য দোয়া করেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, শিশুটির বাবা-মায়ের ডিভোর্স হওয়ার পর মাত্র আড়াই মাস বয়স থেকে তিনি নিজের কাছে রেখে আজমিরকে লালন-পালন করছেন। ১৮-২০ দিন পূর্বে বাড়ি থেকে রাগ করে আজমির বেরিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর বাগাতিপাড়া হাসপাতালে ভর্তির খোঁজ পান। ছাড় পাওয়ায় তিনি তার নোয়াখালীর বাড়িতেই আজমিরকে নিয়ে যাবেন। সেখানে গিয়ে বাকি চিকিৎসা করাবেন।

শিশুটির চিকিৎসা প্রদানকারী বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় ছাড়পত্র দিয়ে নানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকালে উপজেলার লোকমানপুর স্টেশনের অদূরে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন থেকে পড়ে যায় শিশু আজমির। রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উদ্ধারকারী কয়েকজন যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে খোঁজখবর করে শিশুটির পরিবারের সন্ধান পান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম