বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, অবিলম্বে সব মিথ্যা মামলা ও অবৈধ সরকারের দেওয়া দন্ড প্রত্যাহার করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রোববার বিকালে তিন শহিদ পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

দুলু বলেন, লক্ষীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা তাহের ও তার অনুসারী ১৯ জনকে এবং একইভাবে তার (দুলুর) নিজের ভাতিজা সাব্বির আহেমদ গামা হত্যা মামলায় নাটোরের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ২১জনকে রাষ্ট্রপতির আদেশে খালাস পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সরকারের নিকট থেকে নিয়মিত অনুদান পেয়ে আয়েশি জীবন যাপন করছে। দন্ডপ্রাপ্তরা এসব সর্বহারা সন্ত্রাসীরা জেল না খেটে কেউ জনপ্রতিনিধি হয়েছে কেউ আবার কলেজে শিক্ষকতা করেছে। গত ১৫ বছর তারা নাটোরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। 

দুলু আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকার তাদের দুই বছরের শাসনামলে বার বার চেষ্টা করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। না পারলেও আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতার দাপটে ১০ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসামি করে দন্ড দিয়েছে। অবিলম্বে এই সাজানো রায় আইনগতভাবেই বাতিল করতে হবে। ১৮ বছর জোর করে দেশের বাহিরে রাখা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। তাকে দেশে আসতে আইনগতভাবে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। আইনের কথা বলে তাকে আর দেশে প্রবেশ করতে বাঁধা দেওয়া যাবে না।

সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দীন বকুল, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, বিএনপি নেতা কাজী শাহ আলম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে দুলু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিংড়ার শহিদ রমজান আলী, সোহেল রানা ও হৃদয় এর পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।