বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শ্রমিক ওমর ফারুকের (১৬) মরদেহ দাফনের ৫৫ দিন পর উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রোববার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ২নং ওয়ার্ডে কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। নিহত ওমর ফারুক একটি মুদি দোকানে কর্মচারী ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের সময় চরফ্যাশন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলকালীন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুটওভার ব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওমর ফারুক নিহত হন। পরে ৬ আগস্ট পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এনে দাফন করেন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের পিতা মিলন ফরাজী বাদী হয়ে ৫৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।

এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন স্বজনরা।