Logo
Logo
×

সারাদেশ

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি পাঁচ শতাধিক পরিবার

Icon

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি পাঁচ শতাধিক পরিবার

বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচশ পরিবার। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপারের মানুষ।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধি পেয়ে  ঢুষমারা, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ, শনশনিয়া, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁর চর ও নতুন করে চর নাজিরদহ ও নাজিরদহ গ্রামের নিম্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে প্রায় পাঁচশ পরিবার। এছাড়াও উঠতি আমন ধানের খেত বীজ বাদাম খেত, সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। পানি বৃদ্ধি পেলে আরও নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়ার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল এলাকার বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনছার আলী বলেন, তার এলাকায় কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং নদীভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অতিবৃষ্টিতে রোপা আমন ৭০ হেক্টর ও সবজি ফসল ২ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে। তবে কৃষকের ভাষ্যমতে আক্রান্ত ফসলের খেতের সংখ্যা অনেক বেশি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার ভাঙনে ৯টি পরিবারের ভিটামাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ পরিবার গুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ত্রাণ বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক বলেন, আমি টেপামধুপুর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সব বন্যাকবলিত এলাকার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে রোববার দুপুরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম