কাজের কথা বলে দেবিদ্বারে এনে হত্যা, ঘাতক আটক
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পিএম
কাজের কথা বলে দেবিদ্বারে এনে হত্যা, ঘাতক আটক
পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে কাজের কথা বলে হবিগঞ্জ থেকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিয়ে এসে নুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর শোবার ঘরে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে ঘাতক নোয়াজ আলীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় দেবিদ্বার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর পূর্বে নুরুল ইসলামের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে নোয়াজের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে নোয়াজ আলীর একমাত্র ছেলে শিমুল অসুস্থ হয়ে মারা যায়। ওই সময় নোয়াজ আলী ধারণা করেন কবিরাজের মাধ্যমে তাবিজ করে তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে নুরুল ইসলাম। এর কিছুদিন পরে পুত্র শোকে তার স্ত্রীও মারা যান। তখন থেকেই নোয়াজ আলী প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) নুরুল ইসলামকে কাজের কথা বলে দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে নিয়ে আসে নোয়াজ আলী এবং সুযোগ বুঝে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৩টায় ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। হত্যার পর শোবার ঘরেই মাটিতে পুঁতে রাখে লাশ।
আটক হওয়া নোয়াজ আলী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বরকান্দি গ্রামের (লামা বাড়ির) মৃত আবদল আলীর ছেলে এবং নিহত নুরুল ইসলাম একই এলাকার মোকলিস মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস মিয়া জানান, পিরোজপুরে সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ছোট দোকান ঘরে নোয়াজ আলী থাকত। স্থানীয় এক ব্যক্তি শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ঘরে গিয়ে মাটির উপরে হাতের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। ওই সময় মানুষ ছুটে এসে দেখেন ঘরের ভিতরে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলে নোয়াজ আলী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় গ্রামবাসী নোয়াজ আলীকে আটক করে পুলিশে দেন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আটক নোয়াজ আলী হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।