কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোগীর রুম পরিষ্কারকে কেন্দ্র করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেডিকেল (আরএমও) কর্তৃক এক রোগীকে লাঞ্চিত ও তাৎক্ষণিক রিলিজ দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।

এ ঘটনায় রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের অপসারণ চেয়ে  হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেছে। 

জানা গেছে, উপজেলা পানিমাকুটি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইসরাইল হোসেন বুধবার জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ৩নং কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুক্রবার সকালে তার কেবিনের পাশে ময়লা ও দুর্গন্ধ হওয়ায় কর্মরত পরিছন্নতাকর্মীকে দ্রুত পরিষ্কার করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিচ্ছন্নকর্মী সেমুহুত্বের না থাকায় কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার বাইজিদ হোসেন বাঁধনকে বিষয়টি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি রোগী ইসরাইলের কলার ধরে ধাক্কা মারেন ও মারতে আসেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে রোগী ইসরাইলকে রিলিজ করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।

এর কিছুক্ষণ পরে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

রোগী ইসরাইল হোসেন জানান, আমার কেবিনের পাশে ময়লা দুর্গন্ধ থাকায় আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে দ্রুত পরিষ্কার করে দিতে বলি, তিনি আমার কেবিনের দিকে পরিষ্কার না করে অন্যদিকে পরিষ্কার করতে থাকেন, এ সময় আমি ডাক্তার বাঁধন স্যারকে বিষয়টি বললে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে ধাক্কা মারেন এবং আমাকে মারতে আসেন।

এলাকাবাসী জানান, তিনি একজন অমানবিক চিকিৎসক। আমরা তার অপসারণ চাই।

অভিযুক্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার বাইজিদ হোসেন বাঁধন জানান তার সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তেমন কিছু হয়নি।

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কান্তি সাহা জানান, ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরই মধ্যে আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মঞ্জুর এ মোর্শেদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবগত করেছি। আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।