চরভদ্রাসনে বড় ভায়রার হামলায় ছোট ভায়রা খুন
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বড় ভায়রা ভাইয়ের সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়ে ছোট ভায়রা ভাই রাকিব শিকদার (২২) প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট ভায়রা ভাই রাকিব শিকদার মারা যায় বলে জানা গেছে।
নিহত রাকিব শিকদার উপজেলা সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মকদুম শিকদারের ছেলে। এ হামলার শিকার নিহতের অন্য দুই ভাই রিয়াজুল শিকদার ও সাকিব শিকদার একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলাকারী বড় ভায়রা উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আমিনখার ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আনিসের ছেলে আক্তার শেখ (৫০)। সে পারিবারিক কলহের জেরে গত ২৩ সেপ্টম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বেপারীর ঘাট নামক স্থানে ছোট ভায়রা সহ তার অন্য দুই ভাইকে একত্রে পেয়ে আকস্মিক হামলা চালায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্তার শেখ সংঘবদ্ধ দলসহ রাম দা, মাছ মারা টেটা, লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভায়রা ভাইদের উপর আকস্মিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
হামলাকারী অন্যরা হলেন-জিয়া বিশ্বাস (৫০), ছিদ্দিক বিশ্বাস (৫৫), নাজমুল শেখ (২২), সাগর মোল্যা (২২), আনোয়ার মোল্যা (২০), শেখ জাকির (৪০), শেখ সালাম (৪০) ও সবুজ খান (২০)।
জানা যায়, ঘটনার দিন হামলাকারীরা মাছ মারা টেটা দিয়ে রাকিব শিকদারকে আঘাত করলে তার পেটের মধ্যে টেটা ঢুকে জখম হয়। এ সময় আহতের অন্য দুই ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা রাম দা ও লাঠি দিয়ে তাদের আঘাত করে জখম করে। পরে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। কিন্ত শুক্রবার সকালে গুরুতর আহত রাকিব শিকদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মুকদুম শিকদার বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘা গ্রামের দুালাল খানের মেয়ে আন্না বেগমের সঙ্গে রাকিব শিকদারের বিয়ে হয়। এ বিয়ের পর থেকেই তার বড় ভায়রা ভাই আক্তার শেখের সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পারিবারিক বিরোধের কারণে রাকিব শিকদার শ্বশুর বাড়ি আসা-যাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন। ঘটনার দিন রাকিব শিকদার ও তার দুই ভাই একই এলাকায় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। তারা ট্রলারযোগে পদ্মা নদী পার হওয়া মাত্র বেপারীর ঘাট নামক স্থানে হামলার শিকার হন।
শুক্রবার বিকেলে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গাফফার জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। লাশ ফরিদপুর মর্গে আছে। আসামীরা গাঁ ঢাকা দিলেও তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।’