মাদারীপুরে বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরে ১২টি গুইসাপ মরে ভেসে উঠেছে। কয়েক দিন ধরে ভেসে উঠা গুইসাপগুলো কিভাবে মারা গেল, তার সঠিক খোঁজ পাওয়া না গেলেও অভিযোগের তীর বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। পুকুরটিতে মাছ চাষ করায় বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও এলাকাবাসীর সন্দেহ বিদ্যুৎ অফিসের দিকে।

তবে মাদারীপুর পৌর শহরের ইটেরপুল এলাকায় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে গুইসাপগুলো। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী সাপগুলো হত্যার প্রতিবাদে ওজোপাডিকোর অফিসে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করে স্থানীয়রা জানান, অনেক বছর ধরে বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরে বড় বড় সাইজের ১০ থেকে ১৫টি গুইসাপ বসবাস করে আসছে। স্থানীয়রা সাপগুলোকে দেখে বিরক্তিবোধও করতেন না। ময়লা আবর্জনা ও বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত; কিন্তু সম্প্রতি পুকুরটিতে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাছ চাষ শুরু করে। এতে কিছু মাছ গুইসাপগুলো খেয়ে ফেলে বলে কয়েকবারই সাপগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ উঠে। গত কয়েক দিন আগে গুইসাপগুলোকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ ১০ থেকে ১২টি গুইসাপ মরে ভেসে উঠে। বিষয়টি দেখে জেলা প্রশাসকের কাছে দোষীদের বিচারের দাবিও করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে পৌর শহরের বাগেরপাড় এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, সাপগুলো দীর্ঘ দিন ধরে পুকুরে বাস করে আসছে; কিন্তু কিছু দিন আগে পুকুরে মাছ চাষ করেছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। তাই মাছ যাতে খেতে না পারে সেজন্যে পুকুরের পাড়ে বিষ দিয়ে রেখেছিল। ফলে সেই বিষ খেয়ে সাপগুলো মারা গেছে। এমন নির্মম হত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। 

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী সাপগুলো হত্যার প্রতিবাদে ওজোপাডিকোর অফিসে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে অফিস কর্তৃপক্ষ পৌরসভার মাধ্যমে গুইসাপগুলোকে উঠেয়ে মাটিচাপা দিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওজোপাডিকোর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টিকে অন্যদিকে মোড় দেন।

তিনি দাবি করে জানান, এটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের খুঁটি পুকুরের সঙ্গে পড়ে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুইসাপগুলো মারা গেছে। এখানে কেউ বিষ দিয়ে সাপগুলো মারেনি। আমাদের কোনো দায়ভারও নেই।