মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকসহ পরিবারকে কুপিয়ে জখম
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
মাদারীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় শরৎচন্দ্র বাইন নামের এক শিক্ষক, তার স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে।
বুধবার ভোরে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে আহত শিক্ষক শরৎচন্দ্র বাইনকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দোষী ব্যক্তির বিচার দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সুজিত পুইস্তা (২২) একই ইউনিয়নের চৌহদ্দী গ্রামের রাখাল পুইস্তার ছেলে।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের এসি নর্থ কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে আসছেন শরৎ চন্দ্র বাইন (৫৮)। তিনি পরিবার নিয়ে বিদ্যালয়ের ভেতরের আবাসিক একটি কক্ষে থাকেন।
বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সুজিত পুইস্তা প্রায়ই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাদক সেবন করে। বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষক শরৎ চন্দ্র বাইনের। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
এরই জেরে বুধবার ভোরে সহকারী শিক্ষকের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে সুজিত। ক্ষিপ্ত হয়ে শরৎ চন্দ্র বাইনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাধা দিতে গেলে শিক্ষকের স্ত্রী কনিকা দেবী হালদার ও ছেলে শিখন বাইন শক্তিকে কুপিয়ে জখম করে সে। ধস্তাধস্তিতে আহত হয় সুজিত। এ সময় শিক্ষকের পরিবারের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে সুজিত পুইস্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, আহতদের পরিবার থেকে থানায় এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। আহতরা ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।