Logo
Logo
×

সারাদেশ

কনস্টেবলের বঁটির কোপে যুবক পঙ্গুত্বের পথে

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম

কনস্টেবলের বঁটির কোপে যুবক পঙ্গুত্বের পথে

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পুলিশ কনস্টেবলের বঁটির কোপে জাফর (২৭) নামে এক যুবক পা হারাতে বসেছেন। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।

সোমবার বিকালে আগানগর ইউনিয়নের ইমামবাড়ী জাবালে নুর টাওয়ারের ৮ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল এসএম জাকির উত্তরা শিল্প পুলিশে কর্মরত।

এ ঘটনায় সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যাতে দেখা যায়, ৭ম ও ৮ম তলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে জাফর জাকিরের বাবা আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় তার মা জাহানারা ৭ম তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে উঠে জাফরকে চড় মারেন। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ অবস্থায় মায়ের পেছন পেছন এসে রান্নাঘরের বঁটি দিয়ে জাফরের ডান পায়ে কোপ মারে জাকির। এ সময় সে আরও কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে অন্যদের বাধায় সে আর কোপ দিতে পারে না।

মামলার বাদী ইব্রাহিম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল জাকিরের বাবা আবুল কালামের কাছে আমরা ব্যবসা বাবদ ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাই। আমাদের গার্মেন্টসের ব্যবসা। আবুল কালাম আমাদের কাপড় সংগ্রহ করে দেন। এজন্য তিনি অনেক সময় অগ্রিম টাকা নেন। এই টাকা নেয়ার পর সে আর ফেরত দিচ্ছে না, এমনকি কোনো মালও দিচ্ছে না। কিছু বললেই ছেলে পুলিশে চাকরি করে এই ভয় দেখাত।

ঘটনার দিন আমার বড় ভাই পাওনা টাকা আনতে ওই বিল্ডিংয়ে আবুল কালামের ভাড়া বাসায় গেলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে। এ সময় আবুল কালামের ছেলে জাকির বঁটি দিয়ে সজোরে জাফরের ডান পায়ের সামনের অংশে হাঁটুর নিচে কোপ দেয়। এতে তার মাংস কেটে হাড়েও গভীর ক্ষত হয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেই। সেখান পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। মঙ্গলবার পঙ্গু হাসপাতালে জাফরের পায়ে অপারেশন হয়েছে। তবে তার স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল এসএম জাকির মোবাইল ফোনে বলেন, আমার বাবা-মাকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কোপ দিয়েছি। তারা আমাদের অনেক জ্বালাচ্ছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জাকিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম