শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া তিলকান্দি সড়কে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৭০ মিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আর এ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় হাত দিলেই উঠে আসছে সদ্যনির্মিত সড়কের কার্পেটিং। এছাড়া ওই সড়কের ৩টি বক্স কালভার্টেই দেখা দিয়েছে ফাটল।

এমনকি সড়কের নদী শাসনের পেলাসাইডিংসহ সাইট প্রটেকশন ওয়াল দেবে যাওয়ার অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।

শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া তিলকান্দি সড়কে ৭৭০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির কাজ পায় মেসার্স রিফাত এন্টারপ্রাইজ। শুরু থেকেই এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজে উঠেছে নানা অভিযোগ।

স্থানীয় মনির মিয়া জানান, নদী শাসনে খরচ বেশি হবে জেনে সড়কটি ক্লিনিকের বারান্দা পর্যন্ত প্রশস্ত করায় ঝুঁকিতে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ।

কলেজছাত্র তন্ময় ও স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া জানান, তিনটি কালভার্ট নির্মাণের পরপরই নিচে বিশাল ফাটল দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে ভাঙ্গা কালভার্টের উপর রাস্তা নির্মাণ করে ঠিকাদার। এ রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল শুরু হলেই ঘটবে দুর্ঘটনা। সদ্য নির্মিত সড়কে হাত দিলেই উঠে আসছে কার্পেটিং।

তবে রিফাত এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার প্রতিনিধি উজ্জ্বল মিয়া বলছেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করায় চাঁদা না দেওয়াতে এসব অভিযোগ তুলেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ বলেন, নির্মাণসামগ্রী যাচাই-বাছাই করেই কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজের মান সন্তোষজনক।

তবে তিনি কিছু ক্রটির কথা স্বীকার করে বলেন, ক্রুটিযুক্ত কাজগুলো আদায় করেই ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হবে।