সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মো. আনিচুর রহমান ও ব্যবসায়ী মো. ফারুক সেখ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের সাধুহাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাওলানা আনিচুর রহমান (৬০) সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মাওলানার ছেলে। তিনি উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ও কামদিয়া রহমানিয়া মহিলা মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন। মাওলানা আনিচুর ৫ ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। নিহত অপরজন একই ইউনিয়নের ভাওয়াল গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে মো. ফারুক সেখ (৪০)। তিনি এক মেয়ে ও দুই ছেলের জনক। তিনি কলা ব্যবসায়ী ছিলেন।

কামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, মাওলানা আনিচুর রহমান মাদ্রাসার শিক্ষকতার পাশাপাশি ফারুক সেখের সঙ্গে কলার ব্যবসা করতেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে তারা নিজেদের মালিকানাধীন একটি মিনিট্রাকে করে সালথা থেকে মেহেরপুর কলা আনতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহের সাধুহাটি বাজারে তাদের ট্রাকটি পৌঁছলে সড়কের স্পিডব্রেকার (বিট) পার হওয়ার সময় সামনে থাকা আরেকটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভার মতিয়ার রহমান আহত হন। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহত মাওলানা আনিচুর রহমান একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি এলাকায় মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণে অনেক অবদান রেখেছেন। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে তাদের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভীর হাসান সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুজন নিহত হয়েছেন। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাকে আহত অবস্থায় একজন আটকা পড়ে ছিলেন। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।