Logo
Logo
×

সারাদেশ

দণ্ডিত আসামির সন্ধান দিলেই লাখ টাকা পুরস্কার!

Icon

দুমকি দ. (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম

দণ্ডিত আসামির সন্ধান দিলেই লাখ টাকা পুরস্কার!

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হওয়া ওষুধ ব্যবসায়ী জুলফিকারকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং  চেকে উল্লেখিত চল্লিশ লাখ টাকার সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

গত রোববার পটুয়াখালী দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন। এদিকে অভিযুক্ত জুলফিকারকে ধরিয়ে বা সন্ধ্যান দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. সোহরাব গাজী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে জুলফিকার আলী পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি লেবুখালী পাগলার মোড় এলাকায় একটি ওষুধের ফার্মেসি দোকানের সঙ্গে বিকাশের ব্যবসাও করতেন। ব্যবসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর আগে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের চেক বন্ধক রেখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নেন। পাওনাদাররা তাদের টাকা চাইতে গেলে আজ দেবো-কাল দেবো বলে নানা অজুহাত দেখান। একপর্যায়ে  কাউকে কিছু না বলে দোকান ও বসতঘরে তালা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। 

লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সোহরাব গাজী  বলেন, ব্যবসার কথা বলে সোনালী ও ইসলামী ব্যাংকের চেক জমা রেখে জুলফিকার আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা নেন। পরবর্তী সময়ে টাকা চাইতে গেলে নানান টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে শুনি তিনি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। 

আবুল বাশার গাজী নামের এক পাওনাদার জানান, ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। একপর্যায়ে আমার টাকা না দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যান।

মাসুদ গাজী নামের অপর এক পাওনাদার বলেন, ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা নেন জুলফিকার। হঠাৎ মানুষের কাছে শুনি তিনি পালিয়ে গেছেন। আরও অনেকের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন জুলফিকার। যদি কেউ তার সন্ধান দিতে পারেন তাহলে তার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে দেখা মাত্রই দুমকি থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম