সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণচেষ্টা
এবারও বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফাইল ছবি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাতলা সীমান্তের কিছু অংশে ফের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে এবারও বিএসএফকে রুখে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে বৈঠকে বসে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এর আগে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে। পরে বিজিবির বাধার মুখে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন বিএসএফ সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পরশু থেকে সোনাতলা সীমান্তের কিছু অংশে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে বিএসএফ। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শনিবার বিজিবি সদস্যরা বিএসএফকে বাধা দেন। রোববার সকালে আবার কাজ শুরু করলে বিজিবি আবারও বাধা দেয়।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্তের গয়েশপুর ও বাংলাদেশ সীমান্তের সোনাতলা অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। গত কয়েকদিন ধরে এই অংশের মেইন পিলার ২৮০ নম্বরের সাব পিলার ১২ ও ১৩ নম্বরের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ গজের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ। অথচ নিয়ম হলো, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কেউ এ ধরনের বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না।
স্থানীয়রা জানান, বিএসএফ সদস্যরা দিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান আর রাতে কাঁটাতারের বেড়া দেন। এভাবে দুটি সাব পিলার অংশে তারা বেড়া দিয়ে ফেলেছেন। স্থানীয়রা বিজিবিকে বলার পর সেখানে বাধা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ২৮০ মেইন পিলারের ১৫ নম্বর সাব পিলারের কাছে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বৈঠক করেছে। তবে বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি হাটখোলা বিওপির কমান্ডার সাইদুল বারী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাইজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিজিবিকে জানানো হলে গতকাল (শনিবার) তারা বাধা দেন। আজ সকালে বিএসএফ আবার কাজ শুরু করে। এরপর বিজিবি এসে বাধা দিয়ে তাদের (বিএসএফ) সঙ্গে বৈঠক করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমানার ১৫০ গজের মধ্যে ঘেরাও করা যাবে না। কিন্তু তারা সেটি মানছে না।
২০ বিজিবির জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমরা বাধা দিয়েছি। তারা কাজ স্থগিত রেখেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর তারা কাজ করবে না বলে জানিয়েছে। যে অংশে কাজ করেছে সেটি তারা তুলে নিয়ে যাবে।