ভৈরব থানার সাবেক ওসিসহ ৫ এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদারসহ পাঁচ এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল বাদী হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে কিশোরগঞ্জ স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন।
বাদী ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল নিজেকে গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভৈরব শাখার সদস্য সচিব হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মামুন জানান, আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব বাদী ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল মিয়ার জবানবন্দি নিয়েছেন। তবে এখনো কোনো আদেশ দেননি।
আইনজীবী মামুন জানান, ওসি ছাড়া মামলার বাকি পাঁচ আসামির সবাই ভৈরব থানা পুলিশের সাবেক এসআই ছিলেন। তারা হচ্ছেন- দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, অরুণ কুমার বসাক, নজমুল হুদা, আশরাফুল আলম ও আইয়ুব খান।
বাদী ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল মিয়া বলেন, ভৈরবে মাদকবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় ওসি বদরুল আলম তালুকদার মাদক চোরাকারবারিদের দমনের কথা বলে আমার কাছ থেকে কৌশলে তাদের তালিকা সংগ্রহ করেন। পরে জানতে পারি আমার দেওয়া তালিকার মাদক চোরাকারবারিদের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত মাসোয়ারা নেন। আমি ওসিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর জের ধরে আমাকে পাঁচটি মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়। এর ফলে আমি বারবার আটক, রিমান্ডসহ দীর্ঘদিন কারাভোগ করি। যদিও পরে প্রতিটি মামলাতেই আমি নির্দোষ হিসেবে খালাস পাই।
বাদী আরও বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আমাকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে হেয় করার অপরাধে তাদের বিচার দাবিতে মামলার আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে সাবেক ওসি বদরুল আলম তালুকদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তৎসময়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত শেষে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। আমি যেহেতু থানার ওসির দায়িত্বে ছিলাম অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করতে হয়েছে। এখন যদি কাজল আদালতে মামলা করে তবে আমি এ বিষয়ে আইনগতভাবে লড়ে যাব।