বেক্সিমকো ফার্মার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারজন গ্রেফতার
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মার বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সহকারী ক্যাশ অফিসারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের মরারপাড়া গ্রামের আবু বাহারের ছেলে মো. আবু বাশার (২৯), তিনি নাওজোর এলাকায় ফয়সাল টাওয়ারে অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহকারী অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া একই জেলার বউলবাড়ী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), মির্জাপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২২) ও জামালপুরের টিকারাকান্দি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আতিক হাসান (২৯)।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী সাব্বির আহম্মেদ এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আসামি আবু বাশার গত ৮ তারিখ সকালে যথাসময়ে অফিসে না আসায় আসামির ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করিলে মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এবং আসামিকে অফিসে না পাওয়ায় বাদীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। একপর্যায়ে ক্যাশ সুপারভাইজার আতিক হাসানের সাহায্যে বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে টাকা রাখার ভল্টের তালা খুলে অফিসের রেজিস্ট্রার পর্যাবেক্ষণ করে দেখতে পান-ভল্টে রাখা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৫৬ হাজার ৫৫৮ টাকাসহ সর্বমোট ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৫ টাকা নাই। এ বিষয়ে বাসন থানার মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি আরও বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক এবং বিকাশ ব্যবসায়ী ইব্রাহিমকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার বউলবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে আত্মাসাৎকৃত নগদ ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, এজাহারনামীয় আবু বাশারকে নীলফামারীর সবুজপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের নগদ ৬২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেন এবং আত্মসাৎকৃত মোট টাকার মধ্যে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যাংকে, সহযোগী আসামি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ১০ লাখ এবং অপর সহযোগী বেক্সিমকোতে কর্মরত ক্যাশ সুপারভাইজার আতিক হাসানের কাছ ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। এছাড়া অবশিষ্ট টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ করেছেন বলে জানান। পরে ক্যাশ সুপারভাইজার আতিক হাসানকে বাসন থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।