Logo
Logo
×

সারাদেশ

রায়পুরে তীব্র লোডশেডিং

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম

রায়পুরে তীব্র লোডশেডিং

একটু বাতাস অথবা ঝড় হলেই বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে জনজীবন। রোদ, বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৪ লাখ সাধারণ মানুষ। পৌরশহরে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও বাকি ৯টি ওয়ার্ডে এবং ১০টি ইউনিয়নে ১২ ঘণ্টাই হচ্ছে লোডশেডিং। এক ঘণ্টা দিলে বিকালে আসে, আবার বিকালে এক ঘন্টা দিলে সারা রাতই বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে না। 

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বিদ্যুৎ নেওয়ার পর শুক্রবার ভোর ৫টায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। এতে হাসপাতালের রুগীও এশিয়া মহাদেশে ব্হত্তম মৎস প্রজনন-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেনু পোনা উৎপাদন ব্যাহতসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য রয়েছেন। 

প্রতিদিন ১৯ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৯ মেগাওয়াট। সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দিনেও হচ্ছে এবং রাতে লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ির মানুষের দুর্ভোগে হলেও করার কিছুই নেই বলে জানান বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা।

প্রতিদিন রায়পুরে বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৯ মেগাওয়াট। উপজেলার ১০টি ইউপিতে বিদ্যুতের কোনো কোনো গ্রাহক ক্ষুব্ধ। অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে দিচ্ছে ফেসবুকে পোস্ট।

এতে করে রায়পুরের হায়দরগঞ্জ বাজারে এবং সদরের বিশিক শিল্পনগরির হিমাগারের রাখা পণ্য ও বেঙ্গল সু-কারাখানায় কয়েক’শ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানুষের বাসা-বাড়ির সব মালমাল নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতালে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প–কলকারখানা ও দক্ষিন- পুর্ব এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেনু-পোনা উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ তাৎক্ষণিক বৃষ্টির পর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ। শহরে ১৫টি হাসপাতাল, প্রায় ৩'শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বৃহত্তম নোয়াখালীর বিশাল বেঙ্গল সু কারখানা, ৩২ টি কাচাঁবাজার, ২৭টি বিভিন্ন ব্যাংকের কার্যক্রম স্থবির সহ মানুষের জীবন দুর্বিসহ  উঠেছে।

পৌরসভার পশ্চিম কাঞ্চনপুর এলাকার সাবেক কাউন্সিলর স্বপন পাটোয়ারী, ব্যাবসায়ী দেলোয়া, গৃহিণী তাসলিমা খানম ও খুশবু আক্তার বলেন, কতবার যে বিদ্যুৎ যায় আর আসে, হিসাব নেই। শুক্রবার বিকালে বিদ্যুৎ নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত (শনিবার-দুপুর ২টা পর্যন্ত) বিদ্যুত আসোনি। ভাপসা গরমের কারণে ঠিকমত ঘুমাতে পারছেননা অসুস্থরা। শিশুদের কষ্ট হচ্ছে। সময়মতো পড়াশোনা হয় না।

রায়পুরের পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, নানান সমস্যার কারনে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হচ্ছে। দশটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। মোট এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটারে আবাসিক ৭৯ হাজার ৯২২ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক সাত হাজার ৬৩৯ জন। কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯৫ জন। রায়পুর শহর, সোনাপুর ইউপির  রাখালিয়া, চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ ও চরবংশি ইউপির আখনবাজারে স্থাপিত চারটি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইন। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৯ মেগাওয়াট। চাহিদার কম থাকায় বিদ্যুৎ–সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দিনে ও রাতে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। মানুষের দুর্ভোগ হলেও আমাদের করার কিছুই নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম