দোহারে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার খালপাড় এলাকায় আমেনা আক্তার (১৮) নামে দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহত আমেনা উপজেলার কাজিরচর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। সাত ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল আমেনা।
এ বিষয়ে আমেনার বাবা সিদ্দিকুর রহমান দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। হত্যার অভিযোগ করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেড় বছর আগে দোহার খালপাড় এলাকার পাঞ্জু হাওলাদারের সঙ্গে সম্পর্ক করে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমেনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ভালো চোখে দেখতেন না। এ নিয়ে আমেনাকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমেনার শ্বশুর তাকে খারাপ ইঙ্গিত দিতেন। এ নিয়ে গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে আমেনার সঙ্গে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে তার স্বামী পাঞ্জু, শ্বশুর খবির, শাশুড়ি ফাতেমা ও ননদ আমেনা বেগম মিলে আমেনাকে নির্যাতন করে। নির্যাতনের সময় আমার মেয়ে আমেনার পেটে বারবার লাথি দিলে সে গুরুতর আহত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফাঁসির নাটক সাজিয়ে দোহার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে গিয়ে আমার মেয়ের গলায় কোন ফাসির চিহ্ন পাইনি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা মারা যায়। তিনি আরও বলেন, ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহত আমেনার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার পর থেকে আমেনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহত আমেনার স্বামী পাঞ্জুর মোবাইলে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমেনা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।