নাটোরে স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যার দায়ে ৩ যুবককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া শহীদ রেজাউন্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী স্বপ্না খাতুনকে অপহরণ ও হত্যার পর মরদেহ গুম করার দায়ে তিন যুবককে যাবজ্জীবনসহ মামলার দুটি ধারায় মোট ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন (৩২), আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩০) ও আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মামলার এজাহার সূত্রে জানান, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই শিশু শিক্ষার্থী জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হলে সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে সেলিম হোসেনসহ অন্যদের পরিবারের অভিভাবকদের জানালে তারা কোনো সহযোগিতা না করে উলটো হুমকি ধমকি দেয়।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে চারজনের নামসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় প্রথমে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। পরে বনবেলঘড়িয়ার একটি রাস্তার পাশ থেকে ছাত্রীর মৃতদেহের কিছু অংশ উদ্ধার হলে মামলাটি হত্যা মামলায় স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ আট বছর পর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের অনুপস্থিতিতেই আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবার পাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। তবে মামলায় গণধর্ষণের দাবি করা হলেও বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগ থেকে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।