মামলা না তোলায় প্রবাসীকে পিটিয়ে জখম, মোবাইল-টাকা ছিনতাই
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির মামলা না তুলে নেওয়ায় মামলার বাদী প্রবাস ফেরত নাজিমুল সৈয়ালকে (৬০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আসামিরা। এ সময় মোবাইলফোন ও এক লক্ষ টাকা ছিনতাই করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় পরিবারকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত বৃদ্ধকে বুধবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রায়পুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারের পুর্ব দিকে সৈয়াল বাড়ির সামনে রাস্তার ওপরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার জানান।
চিকিৎসাধীন নাজিবুল জানান, একই এলাকার মৃত ওসমানের ছেলে ছোটন হোসেন রাসেলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। তিনি প্রায় ১২ বছর পর চার মাস আগে বাড়িতে আসেন। সম্প্রতি তাদের বাড়ির সামনে তার নামের সরকারি লীজকৃত জমি দখল করে ফলদ গাছ উপরে ফেলা চেষ্টা করে।
এ সময় বাধা দিলে বখাটে ছোটন হোসেন রাসেলসহ স্থানীয় কয়েকজন এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে শারীরিকভাবে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।
এ ঘটনা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে কোন বিচার না পাওয়ায় নিরুপায় হয়ে ছোটন হোসেন রাসেলসহ ৬ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের আদালতে ৭ ধারায় মামলা করি, তা ২৫ সেপ্টেম্বর শুনানীর দিন ধার্য তারিখ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই জমি দ্বিতীয়বার জোরপূর্বক দখলসহ ফলজ গাছ রোপন করার চেষ্টা চালায় বখাটে রাসেল, তার ৩ ভাই-ভাতিজাসহ কয়েকজন ।
এ সময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা চলে যায় এবং রাতে বাড়ির সামনে আমাকে একা পেয়ে এলাকার প্রভাবশালী ফারুক কবিরাজের পরোক্ষ নির্দেশনায় বখাটে রাসেলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী রড ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা মোবাইলফোন ও এক লাখ দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে প্রবাসীকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন ঢাকা পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার জানান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছোটন হোসেন রাসেল বলেন, নাজিবুলের সঙ্গে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তিনি বিদেশ থেকে এসে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। মঙ্গলবার রাতে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কেউ জানাননি। তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।