ব্যাংকের ভুয়া চালান কপি দিয়ে দোহার শিক্ষা অফিস সহকারীর জালিয়াতি

যুগান্তর প্রতিবেদন, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পিএম

ঢাকার দোহার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে টাকা কুক্ষিগত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় সোনালী ব্যাংক জয়পাড়া শাখার কর্তৃপক্ষ।
সোনালী ব্যাংকের অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়- চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জয়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ. হালিম চলতি বছরের ১০ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের কাছ থেকে ১-২৪৩১-০০০০-২৬৭১ কোডের টাইম স্কেলের অতিরিক্ত মূল বেতন ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ৩৪ হাজার ৬৯৫ টাকা ফেরৎ প্রদানের ব্যাংক চালান কপি গ্রহণ করেন; কিন্তু যাচাই করে দেখা যায় ফিরোজ আলমের দেওয়া চালান কপি অনুযায়ী ব্যাংক রেজিস্টারে এমন কোনো চালানের তথ্য নেই। এছাড়া চালান কপিতে সিল ও দুই কর্মকর্তার স্বাক্ষরই জালজালিয়াতি করে ব্যবহার করা হয়েছে; যা ব্যাংকিং আইনের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ. হালিম বলেন, অতিরিক্ত মূল বেতন ও বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিতে আমি ফিরোজ আলমের কাছে গেলে তিনি আমার কাছ থেকে ৩৪,৬৯৫ টাকা গ্রহণ করেন। অফিস খরচ বাবদ আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। সব মিলে আমি তাকে ৫১ হাজার টাকা দেই। ব্যাংক জমা দেখিয়ে ফিরোজ আলম আমাকে একটি চালান কপি দেয়। যেটি সোনালী ব্যাংকে দেখালে তারা আমাকে জানায়, এটি সম্পুর্ণ ভূয়া। জাল জালিয়াতি করে এই চালান কপি বানানো হয়েছে। পরে আবার চলতি বছরের ২৫ জুন একই ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আরও একটি চালান কপি দেন। আমি ব্যাংক কর্মকর্তা বরাবর ব্যবস্থা নিতে একটি লিখিত অভিযোগ দেই।
তিনি আরও বলেন, ফিরোজ আলম টাকার বিনিময়ে সব কাজ করেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজই করতে চান না। আমি এর বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষা অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বসের সঙ্গে আলোচনা করেন- বলেই তিনি মোবাইল লাইনটি কেটে দেন।
দোহার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা পারভিন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কিছু হয়ে থাকলে জেনে বলতে পারব।