জাল সনদে চাকরি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পিএম
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল ও ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগে শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের (৪৪) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি ১৩ বছর ধরে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসাবে চাকরি করে আসছেন।
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দেওয়া নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার সরকার বাদী হয়ে শিক্ষক ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় এ মামলা করেন। ময়না খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের আয়েজ আলী প্রামানিকের মেয়ে।
মামলার এজাহার ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৭ সালের পাশ করা একটি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে মোছা. ময়না খাতুন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসাবে ২০১০ সালে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়ে মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন। উত্তোলন করে যাচ্ছেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা। জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার।
এরপর নিয়োগের সময় ওই শিক্ষকের জমা দেওয়া রোল নম্বর-৫১০১০০৫১ এবং নিবন্ধন নম্বর-৭০০৬০৮১ এর শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠান। এরপর এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয় এবং জাল ও ভূয়া বলে ১১ জুলাই প্রতিবেদন দেয়। একই সঙ্গে প্রতিবেদন পত্রে জাল ও ভূয়া নিবন্ধনধারী শিক্ষক ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরপূর্বক অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেন। শিক্ষক ময়না খাতুন অবৈধভাবে চাকরি করে ১৩ বছরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা হিসাবে ২৩ লাখ টাকা প্রতারনামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার সরকার বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।