Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিলেটে সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ এএম

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ

সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ করা হয়েছে। তার মাধ্যমে শাহপরাণ রয়েল সিটি প্রাইভেট লিমিটেডের ভূমি হারিয়ে ও একের পর এক মামলার শিকার হয়েছেন রয়েল সিটির পরিচালক ব্যবসায়ী আলী আশরাফ খান মাছুম। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের মন্দিরখলা গ্রামের বাসিন্দা। 

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা পাপলু এসব অপকর্ম করেছেন বলে সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী মাছুম। 

তিনি জানান, সিলেটের আদালত ও বিভিন্ন থানায় সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর প্ররোচনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। 

মাছুম বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির নামে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর ৫ একর ৫০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই জমির পাশে শাহ আশরাফ হোসেন গং সাতজনের মালিকানাধীন দখলবিহীন কিছু জায়গা ছিল। শাহ আশরাফ হোসেন সম্পর্কে সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর চাচাত বোনজামাই। তৎকালীন ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপলু তার বাহিনী নিয়ে এ দখলবিহীন ভূমি এবং একই সঙ্গে আমাদের কোম্পানির সাইড অফিসও দখল নিতে হামলা চালান। 

এ পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালে মীমাংসায় আশরাফ হোসেনের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে এই দখলবিহীন ভূমি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত করা হয়। এভাবেই প্রায় ১৭ বছর আগে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান জেলা বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। 

নগরীর শাহপরাণে আমাদের কোম্পানির জায়গার পাশে ফাতেমা বেগমের মালিকানাধীন ৩৬৪ শতক ভূমি। ফাতেমা বেগমের পক্ষে আম-মোক্তার নিযুক্ত হয়ে সিদ্দিকুর রহমান পাপলু ২০১৩ সালের ১০ জুলাই এ ভূমি ৫০ লাখ টাকা মূল্য সাব্যস্ত করে বিভিন্ন তারিখে ৪৩ লাখ টাকা নেওয়ার পরে তিনি আমাকে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু অবশিষ্ট সাত লাখ টাকা দিয়ে আমি ভূমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও তিনি বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যান। 

ওই ভূমিতে আমি ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মাটি ভরাট, ভবন নির্মাণসহ নানান কাজ করাই। পরে তিনি ভূমি রেজিস্ট্রি করার বিনিময়ে আমার কাছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে দখল নিতে চেষ্টা করলে ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। 

মাছুম আরও বলেন, এ ঘটনা সুরাহা না হওয়ায় এবং আমাকে হুমকি ও চাঁদা চাওয়ায় আমি ২০২১ সালের ২১ আগস্ট শাহপরাণ থানায় জিডি ও এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করি। পরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে ২০২১ সলের ২৯ আগস্ট আমি পাপলুর বিরুদ্ধে মামলা করি। 

ওই মামলা সিআইডি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে সিরিজ মামলা করা শুরু করেন। তিনি ২০২২ সালের ৩ জুলাই সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। 

একই দিন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে আরেকটি মামলা করেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে অপর একটি মামলা করেন। তিনি মামলা করেই ক্ষান্ত হননি বরং শাহপরাণ রয়েল সিটি প্রাইভেট লিমিটেডের ভূমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন। 

সিদ্দিকুর রহমান পাপলু বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সবগুলোই মিথ্যা। এমনকি মামলাগুলোও মিথ্যা। আমাকে হেয় করতে এসব করা হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম