মুলাদীতে ইটভাটায় মাটি নিতে বাধা, আ.লীগ-যুবলীগের হামলায় আহত ৫
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
বরিশালের মুলাদীতে ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি নিতে বাধা দেওয়ায় ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চরমিঠুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জালাল ঘরামী ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক টগর ঘরামী লোকজন নিয়ে একই এলাকার সেলিম ঘরামী, কহিনূর বেগমসহ ৫ জনকে জখম করেন বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা।
এ ঘটনায় সেলিম ঘরামীর ভাতিজা শাহজাহান ঘরামী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ১৩ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী শাহজাহান ঘরামী জানান, জালাল ঘরামীর লোকজন ফসলি জমি থেকে কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার একটি ইটভাটায় মাটি বিক্রি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইটভাটার শ্রমিকেরা চরমিঠুয়া গ্রামে সেলিম ঘরামীর ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা শুরু করলে তিনি বাধা দেন। বিষয়টি শ্রমিকেরা জালাল ঘরামীকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন।
বিকালে জালাল ঘরামী, টগর ঘরামী, নাহিদ হোসেন, রানা ঘরামীসহ ১২-১৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেলিম ঘরামীকে মারধর করে। ওই সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার স্ত্রী কহিনূর বেগম, ভাতিজা শাহজাহান ঘরামী, রাসেল হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। আহতদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলা ও মারধরের কথা অস্বীকার করে জালাল ঘরামী জানান, আমাদের জমি থেকে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করেছি। সেলিম ঘরামী ওই জমির মালিকানা দাবি করে মাটি কাটায় বাধা দিয়েছেন। এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।