সীমান্তে টাকার বিনিময়ে আ. লীগের নেতাদের ভারতে পাঠানোর অভিযোগ
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্ত দিয়ে মোটা অংকের অর্থ বিনিময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীকে ভারতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে, সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশের নামধারী সোর্সের মাধ্যমে এ সব অর্থ বিনিময়ে করে তারা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে বিজিবি পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারণ অন্যান্য বিষয়গুলো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এ ক্ষেত্রে দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনপুলিশ বলছে, বিশেষ নির্দেশনা তালিকায় যারা আছেন তারা ছাড়া পাসপোর্টধারী যাত্রীদের প্রাথমিক যাচাই বাছাই পূর্ব ভারতে গমন করতে দেওয়া হচ্ছে।
সীমান্তের একটি স্থানীয় গোপন সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তের দর্শনা, নাস্তিপুর, কামারপাড়া, বারাদী,ফুলবাড়ী, চাকুলিয়া, ঠাকুরপুর ও মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে ৫ আগস্ট দিন থেকে মাঝে মধ্যেই রাতে সীমান্তে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভারতে পাচার করেছে। এ ক্ষেত্রে পাচার হওয়া লোকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ১-২ লাখ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র আরও বলেন, দামুড়হুদা সীমান্তের নাস্তিপুর, কামারপাড়া, বারাদ, ফুলবাড়ি চাকুলিয়া ঠাকুরপুর ও মুন্সিপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অংশে বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সীমান্তে দু-এক জায়গায় ভারত-বাংলাদেশ কাছাকাছি বাড়ি ঘর রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স নামধারী কিছু ব্যক্তি মোটা অংকের অর্থ বিনিময়ে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। পুলিশ ও বিজিবি সোর্স নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সীমান্তে মানবপাচার কাজে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ৭ আগস্ট দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী সহ দুজন কে আটক করে বিজিবি।
এ ব্যাপারে দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এস আই আতিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে পালিয়ে না যাওয়ার নির্দেশনা নামের তালিকা দেন ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষ। তালিকার বাইরে যারা ভারতে গমন করছেন তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে গমন করছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, মানব পাচার বা আমাদের কোন সোর্স এই ধরনের কাজ করেছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এ ধরনের ঘটনার জন্য এখন থেকে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ৫ ই আগস্টের দিন থেকে সীমান্তের রেড এলার্ট জারি করা হয়। সীমান্তের বিজিবি বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় টহল বিজিবি চেকপোস্ট নিয়মিত কাজ করছে। দর্শনার সীমান্তে ভারতের পালনের সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে ভারতের লোক পাচার হচ্ছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।