চাকরির ১১ বছরে ১০ কোটি টাকার মালিক ৩য় শ্রেণির কর্মচারী
মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বান্দরবান
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে নকশাকার পোস্টে ১৫তম গ্রেডে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পান বান্দরবান জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী থোয়াই চ মং। পরে ২০২৩ সালে ১৪তম গ্রেডে পদোন্নতি পান। সরকারি চাকরিতে মাত্র ১১ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা খরচ করে বিলাসবহুল ৪ তলা আলিশান বাড়ি বানিয়েছেন।
থোয়াই চ মং বান্দরবান সদর উপজেলার উজানী পাড়ার উ চিং নুর ছেলে। এক সময় তার দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটত না বলে জানা গেছে।
মূলত বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার বিশ্বস্ত ও কাছের মানুষ হওয়ায় থোয়াই চ মং আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন বলে জানান জেলা পরিষদের কর্মচারীরা। চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজগুলোতে লুটপাটের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন এই কালো টাকার সাম্রাজ্য।
জেলা পরিষদের এক কর্মচারী জানান, থোয়াই চ মং বান্দরবান জেলা পরিষদের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাদ্যশস্য প্রকল্পের সিন্ডিকেটেরও একজন ছিলেন।
ওই কর্মচারী আরও জানান, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের বড়মধক ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন থোয়াই চ মং। কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ব্রিজটি উদ্বোধনের ৬ মাসের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে জানান ওই এলাকার মানুষ।
আরেক কর্মচারী জানান, তাকে নিয়োগ দেওয়ার সময়ও সরকারি কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। তাকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তখন তার বয়স ৪২ বছর অথচ সরকারি নিয়োগের বয়সসীমা হচ্ছে ৩০ বছর।
বিষয়টি নিয়ে থোয়াই চ মং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে নিয়োগ পাওয়ার আগে আমি বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছি। ওখানের টাকাও আমার জমা ছিল। কোনো অবৈধ ইনকাম করিনি। বাড়ি করার সময় ব্যাংক ঋণও নিয়েছি ৫০ লাখ টাকা।
মুখ্য নির্বাহী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি যোগদান করেছি মাত্র ছয় মাস হলো। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। তবে দেশে এ রকম তো অনেকেই আছে।