চাঁদার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের মামলা
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী সুমন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদা শারমিন।
মামলার আসামি সুমন হোসেন বেনাপোল গ্রামের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি ও বন্দরের বিভিন্ন শেড ইনচার্জের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। কাস্টমস হাউজের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বন্দরে প্রবেশ করে পাসপোর্ট যাত্রীদের লাইন ছাড়া দ্রুত ভারতে পার করে দেওয়ার কথা বলে ২-৩ হাজার টাকা আদায় করে আসছেন প্রতিনিয়ত।
বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গত ২ সেপ্টেম্বর পোর্ট থানায় দায়ের করলেও অদৃশ্য কারণে মামলাটি বুধবার দুপুরে এন্ট্রি করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুর সজিব নাজির জানান, সুমন দীর্ঘদিন বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি করে আসছিলেন। তিনি ফেসবুক ও অনলাইনে বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম ও বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল মন্তব্য প্রচার করে কর্মকর্তাদের মানহানি করেন।
বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম জানান, গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে এলে সুমন দলবল নিয়ে তাকে বন্দরের গেস্ট হাউসে ঘেরাও করে আটকে রাখেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সমুন ভক্ত জানান, বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সুমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে বুধবার দুপুরে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
ইতোমধ্যে কাস্টম হাউসে সুমনের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানান বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আ. হাকিম।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, সুমন বেনাপোল বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এতে বাধা দিলে তিনি আমাকেসহ বন্দরের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও অনলাইনে মানহানিকর মন্তব্য করেন।