যবিপ্রবি শিক্ষার্থী-তার স্ত্রীকে আটকে রেখে মারপিট
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ পিএম
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ নেছার উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে আটকে রেখে মারপিট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে যশোর শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আলমগীর কবিরের বাসায় মারপিটের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত যবিপ্রবির ছাত্র শেখ নেছার উদ্দীনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শেখ নেছার উদ্দীন ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি যবিপ্রবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত নেছার উদ্দিন জানান, যশোর শহরের কাঁঠালতলা এলাকার আলমগীর কবীরের শিশু সন্তানকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন তিনি। কিন্তু গত চার মাস যাবত তার বেতন দেন না আলমগীর কবীর। এ নিয়ে তিনি কবীরের স্ত্রী তানিয়া আলমকে বারবার তাগাদা দিলেও তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মঙ্গলবার তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মা তানিয়ার কাছে যান। এ সময় তিনি পাওনা ১৬ হাজার টাকা চান কিন্তু তানিয়া এ টাকা দিতে রাজি হন না। এসব বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি তার স্বামী আলমগীর কবীরকে ডেকে এনে তাদের আটকে রেখে ব্যাপক মারপিটে জখম করে। তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়।
স্থানীয়রা জানান, তারা মারপিটের খবর শুনে ওই বাড়িতে যান। এরপর নেছার যবিপ্রবিতে তার বন্ধুদের খবর দেন। এ সংবাদ শুনে যবিপ্রবি থেকে তাদের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আরও শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হন। তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টি তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে দুটি বাহিনীর সদস্যরা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। তারা দুই পক্ষকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। শিক্ষক নেছারের শরীরে মারপিটের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তানিয়া আলমের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মামলা হয়েছে।