প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে সহায়তা করার কথা বলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে সহায়তা করার কথা বলে এক তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। ঘটনার ৪ দিন পর থানায় মামলা হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে দুই ধর্ষক।
আটক দুই ধর্ষণকারী হলেন- মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের হীরণ বাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফ (২৩) ও আয়নাল হকের ছেলে রুবেল (২৩)। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে সোমবার রাত ১২টার দিকে মামলা করেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রেমঘটিত কারণে অভিভাবকরা অধ্যয়নরত অবস্থায় ওই তরুণীকে বছরখানেক আগে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পরও তরুণী পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থানকালে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ির কাছেই পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির বাইরে বের হন। রাস্তায় তাকে দেখে মোটরসাইকেল আরোহী আরিফ ও রুবেল পথরোধ করলে ভিকটিম ভীত হয়ে সত্য তথ্য জানায়।
পরে তাদের পালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও আরিফ ওই তরুণীকে দিয়ে মোবাইলে ফোন করিয়ে প্রেমিককে ডেকে আনেন। প্রেমিক এলেই তাকে হুমকি ধমকি দেন দুই যুবক। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমিকের হাত-পা ও মুখ বেঁধে স্থানীয় পুকুরপাড়ের খড়ের খাদার পাশে নিয়ে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তরুণীর পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, পাশের গ্রামের মোস্তাক নামের প্রেমিক ওই তরুণীকে নিয়ে পালানোর কথা ছিল ওই দিন। অর্থের বিনিময়ে এ কাজে সহায়তা করার কথা ছিল আরিফ ও রুবেলের কিন্তু তারা সুযোগ নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে।
এ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হয়। এ অবস্থায় ওই তরুণীকে ইতোমধ্যে স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় আলোচিত প্রেমিকের সঙ্গে রোববার বিয়ে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ধর্ষণের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলেও মাতবর পর্যায়ে এলাকায় এ নিয়ে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। কালক্ষেপণ হলেও কোনো মীমাংসা না হওয়ায় সোমবার রাতে ভিকটিম তার অভিভাবকসহ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত ২টার দিকে রুবেল ও আরিফকে গ্রেফতার করে।
মধুপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা ও আসামিদের আদালতে প্রেরণপূর্বক অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।