সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাঙচুর লুটের গুজব
কালকিনি ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মভিটা পরিদর্শন
প্রখ্যাত কবি ও উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মভিটা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজী বাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে সরেজমিন পরিদর্শন করে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিল।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার প্রখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে উপজেলা প্রশাসন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও। পরিদর্শন শেষে ওই ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্কে অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার আত্নগোপন করেন।
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের ভাই ইউপি সদস্য ওয়াশিম হাওলাদার জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাঙচুর বা লুটপাটের কোনো চিহ্ন পাননি ইউএনওসহ প্রশাসনের লোকজন। আমার ভাই সোহেল কবির ঘরের বারান্দায় বসে ওএমএসের কিছু চাল বিতরণ কার্যক্রম করেছিল। তাতে কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচার ছড়িয়েছে যে, আমার ভাই ওই ঘর দখলে নিয়েছে। তবে কবির বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর সূত্র ধরে একটি কুচক্রী মহল সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রতিবেশী সালমা বেগম জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি জমি নিয়ে আমার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। ওই বাড়ির মধ্য আমার পৈতৃক অনেক জমি রয়েছে। আমাদের জমি আমরা বুঝে পাইনি। এই জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোহেলকে জড়িয়ে এ অপপ্রচার করা হয়েছে।
ডাসার থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর মূল ঘটনা জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, আমি কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে তেমন কোন আসবাপত্র, বাড়ি ভাংচুর বা লুটের আলামত পাওয়া যায়নি। তার ঘরের ভেতরে একটি ভাঙ্গা পুরোনো খাট পড়ে আছে। কিছু বই আমরা আগেই সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছি। আমরা কবির ঘরটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি অনেক আগেই। দখলের কোনো বিষয় নেই। ঘরের চাবিটা আমাদের কাছে গচ্ছিত আছে। ঘটনাটি গুজব।