ভান্ডারিয়ায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন যুবলীগ নেতা
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ এএম
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পাঁচ নম্বর ধাওয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেন মুন্সীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পিরোজপুরের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় পশারিবুনীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন।বিষয়টি তদন্ত করে দুদককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সোমবার পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করে। মামলাটি তদন্তের জন্য ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ধাওয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেন মুন্সী ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন সময় দলের রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন লোকের ঘর, টিউবওয়েল, ভিজিডি কার্ড, টিন ও রেশন কার্ড দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবেদনে উল্লিখিত ১৬ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে।
প্রভাবশালী মেম্বার হওয়ায় অসংখ্য মানুষকে ঘর, টিউবওয়েল, ভিজিডি, বিধবা, রেশন কার্ড, ঢেউটিনসহ নানা ধরনের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ধাওয়া ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মসজিদ সংস্কার, ঘাটলা নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দ পান। কিন্তু কোনো ধরনের কাজ না করে প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. ফোরকান খান বলেন, আমার বাবা মৃত্যুর পর আমার মাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ১৫শ টাকা নেয়। আজ ৪ বছরের বেশি সময় ধরে ঘুরাচ্ছে। কার্ড তো দূরের কথা টাকা চাইতে গেলে উলটো মারধরের হুমকি দেয় ফিরোজ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফিরোজ মুন্সির মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে এবং তার বাড়িতে উপস্থিত হলে তিনি মিডিয়ার লোকের পরিচয় পাওয়ামাত্র পালিয়ে যান।