১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ওএমএস ডিলারের দোকানে তালা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
ওএমএস ডিলারের দোকানে তালা
চট্টগ্রামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ডিলারের দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রোববার রাতে বাকলিয়া থানার মিয়াখাননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘মেসার্স আনোয়ার অ্যান্ড সন্স।’ ওএমএসের ডিলাররা সাধারণত খাদ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক এলাকায় যেতে পারছেন না।
এসব তথ্য যুগান্তরকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান মালিক আনোয়ার হোসেন নিজে। এ বিষয়ে থানা পুলিশ ও খাদ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে একটি চক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল; কিন্তু ওএমএস ডিলার আনোয়ার চাঁদা দিতে রাজি হননি। এরপর রোববার রাতে সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ গিয়ে তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।
পাশাপাশি চাঁদা না দিয়ে দোকান খোলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। ডিলার দোকানটিতে নিম্নআয়ের লোকজনের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিতরণের জন্য ১ হাজার কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা রয়েছে। সন্ত্রাসীদের তালা লাগিয়ে দেওয়ার কারণে সোমবার সারাদিন এসব চাল ও আটা বিক্রি করা যায়নি। অনেক নিম্নআয়ের মানুষ চাল ও আটা কিনতে না পেয়ে ফিরে গেছেন।
এ নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন ডিলার। সন্ত্রাসীরা দোকানটিতে শুধু তালা দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, তালায় সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়েছে যাতে কেউ খুলতে না পারে।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাকলিয়া বৌবাজার এলাকার মূল রাস্তার পাশেই ‘মেসার্স আনোয়ার অ্যান্ড সন্স’ নামের দোকানটি। প্রতিষ্ঠানটির দরজায় তিনটি তালা ঝুলছিল। পাশের অন্য দোকানগুলো খোলা রয়েছে।
পাশের দোকানদার মোরশেদ আলম যুগান্তরকে বলেন, রোববার রাতে একদল সন্ত্রাসী দোকানটিতে তালা দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে বলে জানতে পেরেছি। এ কারণে দোকানটি খুলতে পারছে না। অনেক নিম্নআয়ের মানুষ চাল ও আটা কিনতে এসে না পেয়ে ফিলে গেছেন।
মেসার্স আনোয়ার অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আবদুল গাফফার, শামীম হাসান আরাফাত, মোয়াজ্জেম ও সাকিবসহ কয়েকজন চাঁদাবাজ কয়েক দিন ধরে ১০ লাখ চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় রোববার রাতে দোকানে তালা দিয়েছে। তাদের অত্যাচারে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছি না। তাদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছি।
বাকলিয়া থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ দিলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।