শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা
সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ১২ নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ এএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার অভিযোগে করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির ১২ নেতাকর্মী জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যার পর পাবনা জেলা কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান।
এদিকে মুক্তির পর রাতে এসব নেতাকর্মীকে পাবনা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
কারামুক্তরা হলেন- আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন জনি, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন, মোহাম্মদ বরকত, হাফিজুর রহমান মুকুল, আবুল কাশেম, সিমুয়া শামসুর রহমান, মোহাম্মদ লিটন মাল, ফয়সাল রিজিয়া রনো, মোহাম্মদ এনাম এবং আজাদ হোসেন খোকন।
এসব নেতাকর্মীর মুক্তির পর পরই রাতে পাবনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারসহ জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নেতাকর্মীদের মুক্তির খবরে রোববার বিকাল থেকেই পাবনা জেলা কারাগারের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হলে নেতাকর্মীরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ঈশ্বরদীর কারাবন্দি ৪৭ বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ৩০ নেতাকর্মীকে জামিন দেন।
৩০ বছর আগে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা এবং গুলিবর্ষণের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রুস্তম আলী। ওই রায়ে ঈশ্বরদী বিএনপির ৫২ নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সরকার পতনের পর ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের যৌথ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি ছাড়া ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত। রোববার সন্ধ্যায় ১২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং বাকিরা রাজশাহী কারাগারে থাকায় তাদের সোমবার মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
এদিকে বিচার চলাকালীন ৪ জন এবং রায়ের পর কারাগারে ৩ জন আসামি মারা গেছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন হুমায়ুন কবির দুলাল সরদার।