
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ঘটনার ১০ বছর পর আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূঞাকে প্রধান আসামি করে ১০৪ জনের নামে মামলা করে।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দল নেত্রকোনা জেলা শাখার সহসভাপতি ও কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান কাদেরী বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে কেন্দুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সায়মা শাহজাহান একাডেমি স্কুল ভোট কেন্দ্রে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে বাদীকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা (এজহারনামীয় আসামী) কেন্দ্র থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে দেয়। পরে মাঠে অবস্থান নেওয়ার পর আসামীরা বাদীকে গুরুতর হাড়ভাংগা জখম করে।
একপর্যায়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেও আসামীরা গিয়ে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আর্থিক ক্ষতির হীন উদ্দেশ্যে দোকানের ভেতর ও বাইরে ককটেল বিস্ফোরণে ধোঁয়ার কুন্ডলীতে পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানে থাকা বাদীর মোটরবাইক আগুনে ভস্মীভূত করে এবং আসামীরা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, ১ হাজার ২০০ সিমেন্টের বস্তা ও ১০ টন রড নিয়ে যায়।
মামলার বাদি মো. আতাউর রহমান কাদেরী জানান, স্বৈরাচারী আওয়ামী সন্ত্রাসী এজহারনামীয় আসামীদের ক্ষমতার দাপটে প্রাণ ভয়ে এলাকায় থাকতে পারিনি। তাছাড়া তখনকার সময় রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় মামলাও দায়ের করতে পারিনি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।