Logo
Logo
×

সারাদেশ

মৃত ছাত্রলীগ নেতাও মামলার আসামি!

Icon

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম

মৃত ছাত্রলীগ নেতাও মামলার আসামি!

জামালপুরে কবর থেকে উঠে এসে মারামারি করায় মামলার আসামি হলেন মৃত ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পতনে বিভিন্ন ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় এক মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার রাতে জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়ীয়া এলাকার হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি জামালপুর সদর থানায় মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

মৃত শফিকুল ইসলাম জীবিত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জামালপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। মৃত শফিকুল জামালপুর পৌর শহরের পালপাড়া এলাকার মৃত নুরুল মেম্বারের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী হায়দার আলী ৫ আগস্ট বিকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে ৩৮ হাজার নগদ টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৮৩ জনকে নামীয় ও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামির তালিকায় ৭৮ নম্বরে মৃত শফিকুলের নাম।

শফিকুলের স্ত্রী চুমকি বেওয়া যুগান্তরকে বলেন, ২ বছর আগে আমার স্বামী দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সামনে ২০ সেপ্টেম্বর আমার স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকী। একমাত্র মেয়ে সন্তান নিয়ে কষ্টের মাঝে সংসার চালাচ্ছি। জীবিতাবস্থায় আমার স্বামী ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে জীবনের তাগিদে ব্যবসা করে জীবনযাপন করেছেন। শুনলাম আমার মৃত স্বামীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

মৃত শফিকুলের মা সুফিয়া বেগম যুগান্তরকে বলেন, আমার মৃত ছেলেকে যারা আসামি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এদিকে জামালপুর পৌরসভা থেকে মৃত্যু সনদ যাচাই করে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শফিকুল ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিবেশীরাও শফিকুলের দুই বছর আগে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী হায়দার আলী বলেন, ঘটনার দিন আসামিরা আমাকে মারধর করেছেন। মৃত মানুষের নামে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- মামলার এজাহারে যা আছে তাই আমার কথা।

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর যুগান্তরকে বলেন, আমি তো সব আসামিকে চিনি না। এ ব্যাপারে মামলার বাদী ভালো বলতে পারবেন। মৃত মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম