Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সরে গেলেন কর্তারা 

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সরে গেলেন কর্তারা 

যে কোনো মুহূর্তে পুনর্গঠন হতে পারে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ। এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কর্মস্থলে আসেন না। পরিষদ তিনটি পুনর্গঠন হলেই তারা কার্যত দায়িত্বচ্যুত হবেন।

৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে ৬৪ জেলার ৬১টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ করা হয়। 

জানা যায়, বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান সফর করে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

এ নিয়ে সরকার যে কোনো মুহূর্তে পরিষদ তিনটিতে নতুন চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। এ অবস্থায় ক্ষমতাচ্যুতির আগেই কৌশলে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী।

তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো এক বার্তায় তার শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে পরবর্তী পরিষদকে দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত পরিষদের সদস্য রেমরিয়ানা পাংখোয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের এ ধরনের একটি অবগতি বার্তা পেয়েছি। এমনিতে গত সরকার পতনের পর থেকে এ পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্য সবাই দপ্তরের কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। এতে পরিষদেও বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেকটা স্থবিরতা চলছে বর্তমানে। যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তিনিও অনুপস্থিত। এ অবস্থায় নতুন পরিষদ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত কর্মচাঞ্চল্য ফেরার সম্ভাবনা নেই।                

এদিকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অংসুইপ্রু চৌধুরী উল্লেখ করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও আমার প্রিয় নেতা দীপংকর তালুকদারের আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হিসাবে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পেয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বতীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহন করি। 

এরপর হতে আমি চেয়ারম্যান হিসাবে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি দলমত, সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে একটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবেশ, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন ও পর্যটন উন্নয়নসহ সবক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করে একটি সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির জেলায় পরিণত করতে। 

সব সেক্টরে উন্নয়ন ও সম্প্রীতির রাঙামাটি গড়ার লক্ষ্যে দীপংকর তালুকদারের নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মসূচি ও উদ্যোগ গ্রহন করেছিলাম। কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতির মধ্যে সময় ও সুযোগ না থাকার কারণে সেগুলোর শতভাগ প্রতিফলন ঘটানো বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এটাই আমার জীবনের সবচাইতে বড় ব্যর্থতা এবং গ্লানি। এই ব্যর্থতা ও গ্লানিকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম