চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র জমা দেননি শুধু সাবেক এমপি টগর
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে বৈধ অস্ত্র জমাদানের সময়। অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষদিন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। এ জেলায় মোট বৈধ অস্ত্রধারী ছিলেন ৮০ জন। সবাই আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নামে ইস্যুকৃত একটি শটগান জমা পড়েনি।
জমা না হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে রাতেই অভিযানে নেমেছে যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকছেন অভিযানে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী রয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে অস্ত্র ক্রয় করেছেন ৬৪ জন। অপরদিকে সামরিক ইস্যুতে অস্ত্রের লাইসেন্স আছে ২০ জনের। এর মধ্যে অস্ত্র কিনেছেন ১৬ জন। গত ১৬ বছরের মধ্যে মোট অস্ত্রধারী ছিলেন ৮০ জন। তাদের মধ্যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন ৭৯ জন। বাকি একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের ব্যবহৃত শটগান জমা হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা) নাঈমা জাহান সুমাইয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। এ সময়ের মধ্যে যারা নিজ নিজ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবার যে কয়টি অস্ত্র জমা পড়েনি তারও তালিকা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল।
অপর একটি সূত্র জানায়, সাবেক এমপি আলী আজগার টগর সরকার পতনের তিন ৫ আগস্ট থেকে সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন।