ফটকে তালা লাগিয়ে অফিস করছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
চট্টগ্রাম ওয়াসায় অস্থিরতা কাটেনি। কয়েক দিন ধরে ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠন।
বুধবার আন্দোলনকারীদের ভয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অফিস করেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার সহকারী সচিব বাবুল আলম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার সকাল থেকে ওয়াসার প্রধান ফটকসহ সব গেটে তালা লাগিয়ে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসার নিরাপত্তা শাখা। এরপর থেকে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা অনেক গ্রাহক।
প্রবেশে বাধা দেওয়ায় গ্রাহকদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী। শুধু প্রধান ফটক নয়, এমডি কার্যালয়ের সামনের গেটও বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রভাব খাটিয়ে ২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদটি দখল করে রেখেছেন একেএম ফজলুল্লাহ। তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন নেমেছে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ নামে সংগঠনটি। আন্দোলকারীরা ১৭ দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- এমডি ফজলুল্লাহর আয়কর বিবরণী ২০০৯-২০২৪ এবং সম্পদ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করা, ভ্রমণ বিল (২০০৯-২০২৪) এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ এবং ভ্রমণ বিলকে ব্যবসায় পরিণত করায় অনতিবলম্বে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা, অবিলম্বে স্বৈরাচারী সরকারের পোষ্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড বাতিল, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকৌশল ও রাজস্ব শাখাকে ঢেলে সাজানো, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রহণ করা, ৪ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে তাণ্ডবে অংশ নেওয়া ওয়াসার কর্মচারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার সহকারী সচিব বাবুল আলম যুগান্তরকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রধান গেট তালবদ্ধ রাখা হয়। তবে পকেট গেট খোলা রাখা হয়েছে। সেবাগ্রহিতারা যাতে অবাধে আসতে পারেন। কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় ঝামেলা হচ্ছে। এ কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তালাবদ্ধ করা হয়ে থাকতে পারে।’