বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা বাচ্চুসহ অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহবায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আসামিরা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক আর্থিক সুবিধা আদায় করার অভিযোগে সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে গত ৫ আগস্ট হতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভালুকা উপজেলাধীন বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আসামিরা জোরপূর্বক অনৈতিক সুবিধা আদায় করে আসছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৮ আগস্ট দুপুর ৩টায় উপজেলাধীন ভালুকা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাঠালী এলাকায় অবস্থিত এল জি বাটারফ্লাই কোং লি. ফ্যাক্টরির ভিতরে একই উদ্দেশ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে বাচ্চুর হুকুমে অজ্ঞাতনামা অন্যান্য সহযোগী আসামিরা অনধিকার প্রবেশ করে কোম্পানির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জোরপূর্বক অনৈতিক সুবিধা আদায় করত হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন।
এছাড়া ভালুকা থানাধীন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ শান্তি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কল-কারখানায় স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বিএনপির পক্ষে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ভালুকা থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি করেন।
স্থানীয়রা জানান, যে অপরাধের অভিযোগ এনে ত্যাগী, পুরখাওয়া নেতা ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। কতিপয় নেতা আছেন যারা বিগত ১৫ বছর দলীয় কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে বর্তমানে তারা শতাধিক কোম্পানি তাদের হাওলায় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন।
পক্ষান্তের ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু নিজের নামে কোনো কোম্পানির ব্যবসা করেছেন না। দলীয় নেতাকর্মীদের দাবির মুখে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিলেন। ভালুকাতে এ ধরনের সুপারিশের রীতি বিগত আওয়ামী লীগের আমল থেকেই চলছে।
ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। দলীয় নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৈধ ব্যবসার সুপারিশ করেছি। আমি দলীয় হাইকমান্ডের কাছে আবেদন করেছি পুরো ঘটনাটি সরেজমিন তদন্তের জন্য।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কতিপয় ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতারা এ বিষয়ে সবাইকে বারবার সতর্ক করে কিন্তু অভিযুক্তরা কথা শুনেনি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাত সাড়ে ১০টায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বাদী হয়ে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।