Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৭৯ হাজার কিউসেক

কাপ্তাই হ্রদে পানি বিপৎসীমার ওপরে

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ এএম

কাপ্তাই হ্রদে পানি বিপৎসীমার ওপরে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বেড়েই চলেছে। কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে সপ্তাহব্যাপী হ্রদের পানি নিষ্কাশনের পরও কমছে না পানির চাপ।

তাই পানির চাপ কমাতে এখন বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৪ ফুট করে খুলে প্রতি সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৭৯ হাজার কিউসেক। এতে কর্ণফুলী নদীতে বেড়েছে পানি প্রবাহের স্রোত। সোমবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের।

আব্দুজ্জাহের বলেন, ভারতের মিজোরাম রাজ্য থেকে নেমে আসা উজানের পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত বেড়েই চলেছে। এতে সব সময় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে এ হ্রদের পানি। তাই আমরা বাঁধের পানি বেশি পরিমাণে ছাড়ছি। জেলার জানমালের ক্ষতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে (সোমবার বিকালে) ১০৮ দশমিক ৭৫ ফুট বা এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি রয়েছে। হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। এর ১০৮ ফুট হলেই বিপৎসীমা। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ে দিয়ে ৪ ফুট করে পানি ছেড়ে দেওয়ায় কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য কর্ণফুলী নদীর পারে বসবাসরত লোকজনকে সতর্কতায় থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়তে থাকায় জেলার লংগদু, রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি এবং নানিয়ারচর উপজেলার হ্রদের তীরবর্তী নিু এলাকার বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন।

ইতোমধ্যে এসব উপজেলার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্গত লোকজনের মাঝে ত্রাণ তৎপরতাসহ তাদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম