মোজ্জাম্মেল হানিফ ও সাবেক দুই ভিসির বিরুদ্ধে মাদ্রাসাছাত্রের মামলা
টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ টঙ্গীর তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার আলিম শেণির ছাত্র জুনাইদ রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ভিসিসহ ৩৯ জনকে শনাক্ত এবং ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। শনিবার উত্তরা পূর্ব থানায় এ মামলা হয়, যার মামলা নম্বর ২৩।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী টঙ্গীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। গত ৬ জুলাই থেকে দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুলাই ২০২৪ বেলা ১১টায় বাদীসহ তার সহপাঠী ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র ও সাধারণ জনগণ একত্রে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। অদূরে অবস্থানরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং উপরে বর্ণিত অধিকাংশ আসামিসহ আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বানচাল করার লক্ষ্যে ইটপাটকেল ও হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়তে থাকে। দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া একটি গুলি বাদীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে এসে লাগে এবং হাতের এক দিকে ছিদ্র হয়ে হাতের অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে বুকের নিচে লাগে। এতে বাদীর পেটের ১০ জায়গায় ছিদ্র হয়ে যায় এবং হাতে গুলি লাগার কারণে হাতের রগ ছিঁড়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাদীকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদী ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২৯ জুলাই বেলা আনুমানিক ১১টায় ১নং আসামি মাহবুবুল আলম হানিফ ও ২নং আগামী তৎকালীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ওই ঘটনা ও সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসমূহকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গণভবনে প্রেস কনফারেন্স করে। ওই কনফারেন্স করার পর গত ৩ আগস্ট ২নং আসামি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের দায়িত্বে থাকা পরিচালকরাসহ বর্ণিত অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যাকে সমর্থন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে তথাকথিত প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ করে।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ১৬ আগস্ট সকালে অন ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীরা শহিদ আবু সাইদ ও শহীদ মুগ্ধের গ্রাফিতি অংকন শুরু করলে আসামিরা এসে শিক্ষার্থীদের কাজে বাধা এবং হুমকি দেন।