ফাইল ছবি
বাগেরহাটে আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো (৪৫) নামের চালককে হত্যা করে ইজিবাইক লুটে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। শনিবার ভোরে চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা কুশির বাগান সংলগ্ন খালের চর থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বাগেরহাট শহরের বড় বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ইজিবাইক চিতলমারীর উদ্দেশ্যে রওনা করেন ইজিবাইক চালক আনোয়ার। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও আনোয়ার বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজা শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আনোয়ারের ইজিবাইকে লাগানো মটোলক (লোকেশন ট্রাকার) ডিভাইস-এর মাধ্যমে ইজিবাইকটির অবস্থান জানা যায়।
মটোলক ডিভাইসের টেকনিশিয়ান এনামুল আহসান তিতাশ, আয়োরের ভাই দেলোয়ার মোল্লা (৪১) সহ কয়েকজন পুলিশের সহায়তায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা মোড় থেকে ইজিবাইক সহ ছিনতাইকারীদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় রাতেই চিতলমারী থানায় ছিনতাইকারী সজিব শেখ (২১) ও সাগর (১৯) এর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুশির বাগান সংলগ্ন খালের চর থেকে আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনোর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার সলেমান মোল্লার ছেলে।
আসামিরা হলেন, কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে সজিব শেখ ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাকশি গ্রামের সুদেব মজুমদার সাগর।
আয়োরের ভাই দেলোয়ার মোল্লা বলেন, অনেক রাত হওয়ার পরেও যখন ফোনে পাচ্ছিলাম না। তখন মটোলক ডিভাইসের টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং পুলিশের সহায়তায় ছিনতাইকারীদের আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওরা গাড়ি নিয়ে যেত আমার ভাইকে হত্যা করল কেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, হত্যার শিকার ইজিবাইক চালকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা- তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।