পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং প্রধান উপদেষ্টা ও পার্বত্য উপদেষ্টার বক্তব্যে ‘আদিবাসী শব্দ’ ব্যবহারের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বান্দরবানে দলমত নির্বিশেষে নাগরিক পরিষদসহ বাঙালি সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল জনসমাবেশ করেছে।

শনিবার বিকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অব:ক্যাপ্টেন তারু মিয়া, পার্বত্য  নাগরিক পরিষদের মহাসচিব মো. আলমগীর কবির, বান্দরবান হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, রাঙামাটি নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক পরিষদের সমন্বয়কারী শাহাজালাল রানা প্রমুখ।

এদিকে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দলমত নির্বিশেষে বাঙালিদের এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ নেন।

পাহাড়ে নেই কোনো আদিবাসী, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আদিবাসী বলে যারা, এই দেশের শত্রু তারা- স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। 

এর আগে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বাঙালি ছাত্র-জনতার মিছিলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে প্রেসক্লাব এলাকা। কর্মসূচিতে ৫ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা শুরু হয়েছে। পাহাড়কে অশান্ত করতে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। পাহাড়ে দীর্ঘদিনের পাহাড়ি বাঙালি বৈষম্য দূর করতে হবে। পাহাড়কে সন্ত্রাস মুক্ত করতে চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

এই অঞ্চলে কোনো আদিবাসী নেই, সংবিধান মোতাবেক উপজাতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। কিন্তু নতুন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও পার্বত্য উপদেষ্টা বক্তব্যে ‘আদিবাসী শব্দ’ ব্যবহার করেছেন, এটি তারা ভুল বলেছেন। পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে তাদের সংবিধান বিরোধী এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।