Logo
Logo
×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে জোড়া খুনে আলাদা দুই মামলা

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম

চট্টগ্রামে জোড়া খুনে আলাদা দুই মামলা

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি হয়েছে বায়েজিদ বোস্তামী থানায়। খুন হওয়া মো. আনিসের স্ত্রী অ্যানি আক্তার বাদি হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে- আরমান ওরফে ডবল হাজী, মো. হাসান, সাজ্জাদ ও জাহাঙ্গীর আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা। এদিকে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পরও ঘাতকদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে একই ঘটনায় খুন হন মাসুদ কায়সার নামের অপর এক ব্যক্তি। এ সংক্রান্তে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হাটহাজারী থানায় শুক্রবার রাতে পৃথক একটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। খুন হওয়া দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কুয়াইশ বুড়িশ্চর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার অনুসারী দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনিস ও মাসুদ কায়সার খুন হয়ে থাকতে পারেন। বিদ্যালয়ে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে প্রধান শিক্ষক নন্দন বড়ুয়ার পদত্যাগ দাবি করে আনিস ও মাসুদ কায়সার পক্ষ। বৃহস্পতিবার কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্র প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের ১৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর সেখানে হৃদয় নামে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার নেপথ্যে আনিস ও মাসুদ কায়সারের ভূমিকা ছিল বলে মনে করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

বৃহস্পতিবার রাতে মো. আনিসকে (৩৫) বাড়ির অদূরে নগরের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এবং মাসুদ কায়সারকে (২৮) হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাড়ির কাছে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সশন্ত্র সন্ত্রাসীরা। তারা একসঙ্গে ছিলেন। অস্ত্রধারীরা তাদের ধারওয়া করে একজনকে গুলি করলে অন্যজন দৌড়ে পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় চলে যায়। সন্ত্রাসীরা পিছু ধাওয়া করে তাকেও গুলি করে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা যুগান্তরকে বলেন, আনিস হত্যার অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আর ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম