বগুড়ায় যমুনা ব্যাংকের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
বগুড়ায় যমুনা ব্যাংকের শাখা থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ব্যাংকের ১৬ কোটির অধিক টাকা ক্ষতির মামলায় সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকসহ চাকরিচ্যুত পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তারিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর সম্প্রতি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক রংপুর মহানগরীর জিএল রায় রোডের মোহতাসিম বিল্লাহর ছেলে সাওগাত আরমান (৪৫), সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁর মনসুর রোডের সিরাজুল হকের ছেলে রেজওয়ান হক (৪১), সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পারতিতপরল গ্রামের মৃত আবদুল জলিল আহম্মেদের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৩), সাবেক অফিসার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাইটকাপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবদুর রউফ এবং সাবেক এফএভিপি ও সাব-ম্যানেজার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চককল্যাণী গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫২)।
দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ায় গত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ কার্যালয়ে চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা যমুনা ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তারা ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টেন্ডার সিকিউরিটি, পারফরমেন্স জামানত পে-অর্ডার ইস্যুকালে প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য কমিশন ও সরকারের ভ্যাট, স্ট্যাম্প চার্জ এব মার্জিন গ্রহণ করেননি।
আসামিরা পরপর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৬ লাখ আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ব্যাংকের ১৬ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪২১ টাকা সাত পয়সা ক্ষতি করেন।
দুদকের পিপি এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, যমুনা ব্যাংক কর্মকর্তারা ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ভুয়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকের ১৬ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি করেছেন।
তিনি বলেন, দুদক থেকে প্রথমে চার কর্মকর্তা সাওগাত আরমান, রেজওয়ান হক, রবিউল ইসলাম এবং আবদুর রউফের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তদন্তে সাবেক এফএভিপি ও সাব-ম্যানেজার নুরুল ইসলামের নাম আসে। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সম্প্রতি স্পেশাল জজ আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করছেন। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম পলাতক এবং অপর চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। আগামী ১ নভেম্বর চার্জশিট গ্রহণের ব্যাপারে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।