বহিষ্কার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লুটপাট-চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
নানাবিধ দুর্নীতির কারণে বহিষ্কার হওয়া আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে লুটপাট, ভাঙচুর, দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ দলীয় নেতারা।
বিগত সরকারের আমলে জালাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকাল ১০টায় বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, গত বুধবার ব্যক্তিগত কাজে চিলা যাচ্ছিলাম। তখন চলাভাঙ্গায় চায়না কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিদ্যুতে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার সহযোগী মিল্টন, মিলন, রাহাতসহ অনেকে চাঁদাবাজি করছে। এমন তথ্য পেলে আমি ওখানের স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে পেরে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একপর্যায় মিল্টন, মোকলেসসহ ৫ জনকে আমতলীতে পার্টি অফিসে আসতে বলি। আমরা হাইওয়ে রাস্তায় উঠলে অতর্কিতভাবে ওরা পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। ঘটনাস্থলে আবুল কালাম আজাদ, মিলন আহত হন এবং একটি মোটরসাইকেল ভেঙে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তারপর বিকাল ৪টায় আমি পার্টি অফিসে এলে আমাদের ছুরিকাটা স্ট্যান্ডে নেমে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার ছেলে রাহাত আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীসহ প্রায় দুই শতাধিক লোক নিয়ে আমার বড় ভাই হালিম মৃধার ওপর এলোপাতাড়ি কোপাতে তাকে। তার পিঠে এবং আঙুলে গুরুতর জখম হয়। এই হামলাকারীরা পল্লী বিদ্যুৎ এসে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু মুছা, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, চাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রবিউলসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট থেকে এই বহিষ্কৃত নেতা জালাল ফকির বিভিন্ন জায়গায় দোকানে ভাঙচুর, হামলা, দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে। এই বহিষ্কৃত জালাল ফকির অতীতে হাইজ্যাক, গরু চুরি করত।
বিগত হাসিনা সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের সঙ্গে আঁতাত করে অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।
বিএনপি নেতারা বলেন, আমরা আমতলী উপজেলা বিএনপি জালাল ফকির গংদের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় লড়ব।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন-আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম টারজান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম খান ও যুবদলের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. শামসুল হক।
এ ব্যাপারে জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, তুহিন মৃধার লোকজনই হামলা ও চাঁদাবাজি করেছে। হুমায়ুন কবির মিল্টন নামে এক মুদি মনোহরি দোকানদার বৃহস্পতিবার আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে এফআইআর গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।