খাসজমি দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে খাসজমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে হারুন মিয়া নামের একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন রফিনগর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাবাজারের দক্ষিণ পাশের খাসজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রফিনগর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান ও মির্জাপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন ওই খাসজমি দখল নিতে গিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মির্জাপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতির নাম দিয়ে বর্ষার শুরুতে খাসজমিতে বাঁশের খুঁটি ফেলে দখলের চেষ্টা করে। অপরপক্ষ রেজুয়ান হোসেন খান রফিনগর ও মাছিমপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে চতুর্মুখী সমিতির নামে ওই জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সুনাম পর মৌজাশ কিত্তা গাও এবং সুনাম পর গ্রামের ভূমিহীনরা সরকারি এই জায়গাটি বন্দোবস্ত পেলেও তারা দখলে যেতে পারেননি। কিছুসংখ্যক ভূমিহীনদের কাছ থেকে রেজওয়ান খান ওই বিরোধপূর্ণ জায়গা ক্রয় করেন।
রেজওয়ান হোসেন খান জানান, বাজার বর্ধিতকরণে এলাকাবাসীকে জায়গা দিয়েছি। অপরদিকে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতি নাম দিয়ে মির্জাপুর গ্রামবাসীকে নিয়ে ওই বিরোধপূর্ণ জায়গা দখলে নিতে কাটা বাঁশ ফেলে দখলে নিতে চাইলে এ সংঘর্ষ বাধে।
দিরাই ও শাল্লার দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন রয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, খাসজমি নিয়ে রফিনগর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন ও মির্জাপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।