প্রেস ক্লাবে হামলা-লুটপাট, চট্টগ্রামের ২৭০ সাংবাদিকের নিন্দা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও সন্ত্রাসী তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন ক্লাবের ২৭০ জন সদস্য।
মূলধারার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা বলেছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারা এত কিছুর পরও চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। দুর্বৃত্তরা বিষয়টিকে দুর্বলতা মনে করে বারবার একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে চর দখলের মতো দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ক্লাব সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মিথ্যাচার ও জঘন্য সব অপপ্রচার চালাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রেস ক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে প্রেস ক্লাব সদস্যরা বলেন, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব দলমত নির্বিশেষে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সদস্যদের কল্যাণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এ অঞ্চলের মানুষের মত প্রকাশ করার একটি বড় প্লাটফর্ম। যেখানে গণতান্ত্রিক এবং গঠনতান্ত্রিক চর্চা হয়ে আসছে। প্রেস ক্লাবে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংসের নামান্তর বলেই মনে করেন সদস্যরা।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, দৈনিক সুপ্রভাত সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জিয়াউদ্দিন এম এনায়েত উল্লাহ, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, বিএফইউজে সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক ব্যুরো প্রধান সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ও বাংলানিউজের ডেপুটি নিউজ এডিটর তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ম. শামসুল ইসলাম, বিএফইউজে যুগ্ম সম্পাদক মহসিন কাজী, ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক সাবের আহমদ আসগারী, এম নাসিরুল হক, নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, ইসকান্দর আলী চৌধুরী, অঞ্জন কুমার সেন, জসীম চৌধুরী সবুজ, নুরুল আলম, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, দৈনিক জনকণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, ডেইলি অবজারভারের ব্যুরোপ্রধান নুরুল আমিন, দৈনিক দেশ রূপান্তর চট্টগ্রাম অফিস উপদেষ্টা ফারুক ইকবাল, দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরোপ্রধান শফিউল আলম, দৈনিক পূর্বকোণের সিটি এডিটর নওশের আলী খান, দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ, দৈনিক বাংলার ব্যুরো প্রধান ডেইজী মওদুদ, একুশে টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান রফিকুল বাহার, ভোরের কাগজের ব্যুরোপ্রধান সমরেশ বৈদ্য, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ব্যুরোপ্রধান নাজিমুদ্দীন শ্যামল, দৈনিক কালের কণ্ঠ ব্যুরোপ্রধান মুস্তফা নঈম, দৈনিক পূর্বকোণের বার্তা সম্পাদক এএইচএম হাসনাত মোর্শেদ, চিফ রিপোর্টার সাইফুল আলম, বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান মহসিন চৌধুরী চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও বাংলাভিশন ব্যুরোপ্রধান নাসির উদ্দিন তোতা, চ্যানেল-২৪ এর রিজিওনাল এডিটর কামাল পারভেজ, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরোপ্রধান শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দৈনিক সমকালের রিজিওনাল এডিটর এসএম সরোয়ার জাহান, যায়যায়দিন পত্রিকার খোরশেদুল আলম শামীম, ডেইলি স্টারের ব্যুরোপ্রধান শিমুল নজরুল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ব্যুরোপ্রধান আলমগীর সবুজ, বণিক বার্তা ব্যুরোপ্রধান রাশেদ এইচ চৌধুরী, ডেইলি সান ব্যুরোপ্রধান মো. নুর উদ্দিন আলমগীর, প্রতিদিনের বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান এসএম রানা, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত, আমাদের সময় ব্যুরোপ্রধান হামিদ উল্লাহ, যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান জামশেদ রেহমান চৌধুরী, বিডিনিউজ-২৪ ব্যুরোপ্রধান মিন্টু চৌধুরী, আজকের পত্রিকা ব্যুরোপ্রধান সবুর শুভ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের ব্যুরোপ্রধান এসএম রানা, খবরের কাগজের ব্যুরোপ্রধান ইফতেখারুল ইসলাম, কালবেলার ব্যুরোপ্রধান সাইদুল ইসলাম, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ব্যুরোপ্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস, দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা সম্পাদক আবু মোশাররফ রাসেল, মাছরাঙা টিভি ব্যুরোপ্রধান নাজমুল আলিম সাদেকী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত ব্যুরোপ্রধান মো. সেলিম, এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহসহ ২০৯ জন সাংবাদিক।