স্ত্রী-সন্তানকে নিরাপদে রেখে চাচাকে আনতে গিয়ে ভেসে যান ফরহাদ
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি হয়েছিল ফরহাদ খানের পরিবার। পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করে তার নানার বাড়িতে রেখে আসেন। পরে চাচাকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সবাইকে বাঁচিয়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন ফরহাদ।
পরে শনিবার ফেনীর সদর হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়; কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় তার লাশ নানার বাড়িতেও আনতে বিলম্ব হয়।
রোববার রাতে স্বজনরা তাকে মীরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের নানা বাড়িতে এনে তার দাফন সম্পন্ন করেন। ফরহাদের বাড়ি ফেনী জেলার কালিদহ ইউনিয়নের সিলোনিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত সিদ্দিক আহম্মদ খানের ছেলে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ফেনীর সিলোনিয়ায় যখন পানি বাড়তে থাকে তখন ফরহাদ স্ত্রী ও তিন সন্তানকে মীর সরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের নানার বাড়িতে রেখে আসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তার চাচাকে আনতে যান ফরহাদ কিন্তু সেখানে গিয়ে পানির স্রোতে ডুবে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শনিবার তার লাশ পান স্বজনরা।
ফরহাদের মামা বেলায়েত হোসেন জানান, এলাকায় ফরহাদের গরু ও মুরগির ফার্ম রয়েছে। বন্যায় যখন ফেনীর সিলোনিয়ায় পানি বাড়তে থাকে তখন স্ত্রী ও সন্তানদের মীরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামে নানার বাড়িতে রেখে যান। পরে চাচাকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। শনিবার ফেনীর সদর হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়।
অবশেষে রোববার রাতে নানার বাড়িতে দাফন করা হয় ফরহাদকে। এদিকে ফরহাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সবাই নির্বাক। ছেলে আরাফ খানের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। বারবার বাবাকে খুঁজছে সন্তানরা।